লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানল, পুড়ে গেছে মালিবুর এক–তৃতীয়াংশ

লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানল, পুড়ে গেছে মালিবুর এক–তৃতীয়াংশ
বিশেষ প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে, যার ধ্বংসযজ্ঞে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে মালিবুর এক-তৃতীয়াংশ। স্থানীয় সময় শনিবার মালিবুর মেয়র ডগ স্টুয়ার্ট জানিয়েছেন, শহরটি তিন মাসে তিনটি ভয়াবহ দাবানলের মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিপর্যয়কর ছিল প্যালেসেইডস দাবানল।দাবানলে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। এর মধ্যে ১১ জন ইটন দাবানলে এবং ৫ জন প্যালেসেইডস দাবানলে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় মেডিকেল এক্সামিনার কার্যালয়ের তথ্যানুসারে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।লস অ্যাঞ্জেলেসে চারটি প্রধান দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে।
- প্যালেসেইডস দাবানল: সবচেয়ে বড় এই দাবানলটি ২৩,৬৫৪ একরজুড়ে জ্বলছে। এর মাত্র ১১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
- ইটন দাবানল: ১৪,১১৮ একরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই দাবানলের ১৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
- কেনেথ দাবানল: ১,০৫২ একরজুড়ে দাবানলের ৯০ শতাংশ এখন নিয়ন্ত্রণে।
- হার্স্ট দাবানল: ৭৯৯ একরজুড়ে জ্বলছে এবং এর ৭৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে।
মালিবুর মেয়র ডগ স্টুয়ার্ট বলেন, “প্যাসিফিক কোস্ট হাইওয়ের পাশের সুন্দর বাড়িগুলো পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। বিগ রকের জনবসতির অবস্থাও একই রকম। আমাদের সামনে বিশাল পুনর্নির্মাণ প্রকল্প আছে। কিন্তু এখনো আমরা দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম ধাপেই আছি।”লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল এত ভয়াবহ আকার নেওয়ার পেছনে প্রধান কারণ মরু অঞ্চল থেকে আসা সান্তা অ্যানাস নামের ঝোড়ো বাতাস। গত শুক্রবার বাতাসের গতি কিছুটা কমে এলেও এখন তা আবার শক্তিশালী হচ্ছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত এই ঝোড়ো বাতাস অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর প্রধান অ্যান্টনি ম্যারোন বলেন, “বাতাসের গতি আরও বাড়বে এবং তা জনবসতিপূর্ণ এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।”ক্যাল ফায়ার এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের অগ্নিনির্বাপণ বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মেয়র স্টুয়ার্ট জানিয়েছেন, পুনর্নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করতে এখনো সময় লাগবে।লস অ্যাঞ্জেলেসে এই দাবানল নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও পুনর্গঠন কার্যক্রমে সহায়তার জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মত বিশ্লেষকদের।