বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসনে সরকারের উদ্যোগ: ১০০ জনকে পুলিশে নিয়োগ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসনে সরকারের উদ্যোগ: ১০০ জনকে পুলিশে নিয়োগ
বিশেষ প্রতিবেদক
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঘোষণা করেছেন যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে ১০০ জনকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কাজ দেওয়া হবে।মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সিআইডি প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই ঘোষণা দেন।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আপাতত ১০০ জনকে পুলিশে চাকরি দিয়ে শুরু করা হবে। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।”তিনি আরও বলেন, “শুধু পুলিশ নয়, মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্যান্য বিভাগেও আহতদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।”শিক্ষার্থীদের জন্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা এক হাজার শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক ডিউটিতে যুক্ত করার প্রস্তাব করেছি। এর মধ্যে ৪০০ জনকে ইতোমধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য তাদের ২-৩ ঘণ্টার কাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের সম্মাননিও দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে অবসরপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে প্রত্যাশার তুলনায় সাড়া কম পাওয়া গেছে। আমরা ৫০০ জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৫০ জনকে নিয়োগ করা সম্ভব হয়েছে।”সিআইডি প্রধানকে দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “মানিলন্ডারিং দেশের অন্যতম বড় সমস্যা। দীর্ঘ সময় ধরে তদন্ত চালালে কার্যকারিতা হারায়। তাই দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরি।”এই উদ্যোগ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের প্রতি সরকারের সহানুভূতি এবং পুনর্বাসনের অঙ্গীকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। একই সঙ্গে, মানিলন্ডারিং ও রিজার্ভ চুরির মতো জাতীয় সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের সক্রিয় ভূমিকার প্রতিফলন ঘটেছে।