শুক্রবার নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

সময়: 10:54 am - February 25, 2025 | | পঠিত হয়েছে: 47 বার

শুক্রবার নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

বিশেষ প্রতিবেদক

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, জাতীয় সংসদ ভবনসংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিকেল তিনটায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই দলের যাত্রা শুরু হবে।সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে নবদিগন্ত উন্মোচনের আরেকটি অধ্যায় হতে যাচ্ছে।” তিনি জানান, নতুন দল ‘জুলাই স্পিরিট’ (জুলাইয়ের চেতনা) ধারণ করে এগিয়ে যেতে চায় এবং দেশের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করবে।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার, আহত যোদ্ধা, আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা প্রবাসী প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, ধর্মীয় ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ থাকবে।নেতৃত্ব ও কাঠামোদলের নেতৃত্ব নির্বাচন সম্পর্কে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, “নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য গড়ে তোলা হয়েছে। দলের গঠনতন্ত্রে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।” সূত্র মতে, দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত হতে পারে। প্রাথমিকভাবে ১৫১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।নাম ও প্রতীকনতুন দলের নাম ও প্রতীক নিয়ে জনমত জরিপ চালানো হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী দুই লাখের বেশি মানুষ বেশ কয়েকটি নাম প্রস্তাব করেছেন, যার মধ্যে ‘জনতার দল’, ‘নতুন বাংলাদেশ পার্টি’, ‘বিপ্লবী দল’, ‘নাগরিক শক্তি’ প্রভৃতি বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জনমতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।দলের প্রতীক নির্ধারণেও জনগণের মতামত নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ মানুষ সংগ্রাম, উন্নয়ন ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে উদীয়মান সূর্য, কলম, বই, গাছ, মুষ্টিবদ্ধ হাতের মতো চিহ্ন প্রস্তাব করেছেন। দলীয় নিবন্ধনের সময় প্রতীকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।মূল লক্ষ্য ও প্রত্যাশানতুন দলের মূল লক্ষ্য হবে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ, জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে সেবার মানোন্নয়ন ও জনগণের জন্য জনবান্ধব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।জনমত জরিপে অংশগ্রহণকারীরা নতুন দলের কাছ থেকে একনায়কতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। তারা অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, নারী ও তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং রাজনৈতিক সহিংসতা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছেন।নতুন দলের আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর