নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ: চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসছে এই সপ্তাহেই

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ: চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসছে এই সপ্তাহেই
বিশেষ প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে গঠিত হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের নাম চলতি সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত হতে পারে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের আত্মপ্রকাশের কথা রয়েছে। দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করতে চলা মো. নাহিদ ইসলাম। তবে দলের দ্বিতীয় শীর্ষ পদ (সদস্যসচিব) নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এই পদে আলোচনায় রয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, আখতার হোসেন ও সারজিস আলম।
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানিয়েছেন, শীর্ষ পদে নাহিদ ইসলামই সবার পছন্দ। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের মধ্যে দলের নাম ও আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ২৫ ফেব্রুয়ারির আশেপাশে হতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নতুন দলের বিষয়ে জনমত জরিপ পরিচালনা করছে। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই অনলাইন জরিপের নাম ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’। জরিপে মানুষের কাছে পাঁচটি প্রশ্ন রাখা হয়েছে: ১. কোন তিনটি কাজ করলে দেশ বদলে যাবে? ২. নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে কোন সমস্যার সমাধান চান? ৩. নতুন দলের কাছে প্রত্যাশা কী? ৪. দলের নাম কী হতে পারে? ৫. দলের প্রতীক কী হতে পারে? এখন পর্যন্ত দুই লাখের বেশি মানুষ জরিপে অংশ নিয়েছে। সাধারণ মানুষের মতামত অনুযায়ী নতুন দলের নামের জন্য ‘গণতন্ত্র’, ‘নাগরিক’, ‘জাস্টিস’ ও ‘বৈষম্যবিরোধী’ শব্দগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন জানিয়েছেন, মানুষের মতামতের ভিত্তিতেই দলের নাম নির্ধারিত হবে। নতুন দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আসতে পারে।
এদিকে, বিএনপি তরুণদের এই রাজনৈতিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে দল গঠনের প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় বা প্রশাসনিক সহায়তার অভিযোগের বিষয়ে সতর্ক করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নতুন দল গঠনের পথটি স্বচ্ছ হতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্রে জানা গেছে, নতুন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি একটি নতুন ছাত্রসংগঠন গঠনের কথাও ভাবা হচ্ছে। এটি ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামে হবে না, বরং নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করবে।
নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।