বাংলাদেশের আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণে নতুন যুগের সূচনা

সময়: 6:15 am - January 13, 2025 | | পঠিত হয়েছে: 62 বার

বাংলাদেশের আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণে নতুন যুগের সূচনা

বিশেষ প্রতিবেদক

বিশ্বজুড়ে আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশও যুক্ত হচ্ছে। ঢাকার তেজগাঁও, গুলশান, এবং মালিবাগের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক সুউচ্চ ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে, যা দেশের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবনের তালিকায় এখন শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বুর্জ খলিফা (৮২৮ মিটার)। বাংলাদেশে এ ধরনের ভবনের উচ্চতা অর্জন না হলেও, ঢাকার মতিঝিলে সিটি সেন্টার বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ ভবন হিসেবে পরিচিত। ৩৭ তলা এই বাণিজ্যিক ভবনটির উচ্চতা ১৭১ মিটার (৫৬১ ফুট)।বর্তমানে ঢাকায় ৫০০ ফুটের বেশি উচ্চতার কয়েকটি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। উল্লেখযোগ্য ভবনগুলো হলো:

  • শান্তা পিনাকেল: তেজগাঁও-গুলশান সংযোগ সড়কে নির্মাণাধীন ৪০ তলা ভবনটি ৫০০ ফুট উচ্চতা নিয়ে ঢাকার অন্যতম আধুনিক স্থাপনা হতে চলেছে।
  • ঢাকা টাওয়ার: ৩৮ তলা বিশিষ্ট এই ভবনটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
  • এসকেএস স্কাই রিচ: সেনা কল্যাণ কর্তৃক নির্মাণাধীন ৪১ তলা ভবন।
  • এমজিআই টাওয়ার: মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন ভবন, যা ৫০০ ফুট উচ্চতায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলকে স্থান দেবে।
  • টিএ টাওয়ার: মালিবাগে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম ৪৫ তলা ভবন।

স্বাধীনতার আগে ঢাকার প্রথম উচ্চ ভবন ছিল দিলকুশার জীবন বিমা ভবন। স্বাধীনতার পর নির্মিত ১৩৭ মিটার উচ্চতার বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন ছিল দীর্ঘদিন দেশের সর্বোচ্চ ভবন। এখন উচ্চতার মানদণ্ড পাল্টে যাচ্ছে।উচ্চ ভবন নির্মাণ চ্যালেঞ্জিং হলেও বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের দক্ষতায় এগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। ভবনগুলোর কাঠামোগত স্থায়িত্ব, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে নির্মাণ করা হচ্ছে।শান্তা হোল্ডিংসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শিহাব আহমেদ বলেন, “আমাদের নির্মিত ভবনগুলোর মান ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আন্তর্জাতিক মানের।”জমির স্বল্পতা ও জনসংখ্যার চাপ সামাল দিতে আরও উচ্চ ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতে ১০০ তলা বা তারও বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সিভিল এভিয়েশন এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার অনুমোদন পেলে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব।ঢাকায় সুউচ্চ ভবনের এই নির্মাণ কার্যক্রম রাজধানীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পরিধি আরও প্রসারিত করবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর