ইমরানের সঙ্গে কারাগারে দুর্ব্যবহার করলে শাটডাউন দেওয়া হবে ।
কারাগারে ইমরানের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করলে পাকিস্তান শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল পিটিআই। সেই সঙ্গে তাদের শীর্ষ নেতার মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও পিটিআই-এর সিনিয়র নেতা আলী আমিন গান্দাপুর শেহবাজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাব প্রদেশের ফেডারেল সরকারকে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইমরান খানকে খাবার দেওয়া হচ্ছে না। কারাগারে তার সেলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। তাকে লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি আপনাদের একটি সতর্কবার্তা দিচ্ছি- যদি এটি অব্যাহত থাকে তবে আমরা পাকিস্তানকে অচল করে দেওয়ার এবং এই সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেন তার বোন আলিমা ও উজমা খান। পরে তারা সাংবাদিকদের জানান, কর্তৃপক্ষ তাদের ভাইয়ের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করছে বলে তারা উদ্বিগ্ন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) ইমরানের এক্স অ্যাকাউন্টে একটি বার্তায় বলা হয়, ৭২ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদকে হেফাজতে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। ‘আমাকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। আমার চিকিৎসক, পরিবার ও আইনজীবীদের কয়েক সপ্তাহের জন্য আমার সঙ্গে দেখা করতে নিষেধ করা হয়েছে।’
পিটিআই নেতা সাইয়েদ জুলফি বুখারি বুধবার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারে বড় ধরনের বিক্ষোভ করা হবে। ইমরান খানের মুক্তি নিশ্চিত করার একমাত্র লক্ষ্য নিয়ে দেশব্যাপী আমাদের আন্দোলনের সূচনা হবে এটি।
বুখারি বলছিলেন, ইমরান খান একজন সৎ ও সাহসী নেতা। কারাগারে থেকেও এতদিন তিনি নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অভিযোগ করেননি। তবে তার বোনেরা নিশ্চিত করেছেন, ইমরানকে দুই সপ্তাহ ধরে লোকজনের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তার সেলে কোনো বিদ্যুৎ নেই। তাকে যে খাবার দেওয়া হয়, তাও অপ্রতুল।
২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সন্ত্রাসবাদসহ কয়েক ডজন মামলায় অভিযুক্ত করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। যদিও ইমরান খান জামিন পেয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। তবে তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন। পিটিআই বলছে, ইমরানের ক্ষমতায় ফিরে আসা রোধ করার একটি কৌশল এটি।