ঘোষিত গাজার নিরাপদ অঞ্চলেও ইসরায়েলি হামলা ।
দক্ষিণ গাজা শহরের খান ইউনিসের কাছে একটি ক্যাফেতে সোমবার গভীর রাতে একটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় সাতজন নিহত হয়েছে। তবে আলজাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা বলা হয়েছে ১০জন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এর আগে এই এলাকাকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা করেছিল। ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা বলেছেন, রবিবার (৯ নভেম্বর) রাত থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৭ জন হয়েছে।
সোমবার ইসরায়েলি বাহিনী নুসেইরাত ক্যাম্পে ট্যাংক পাঠিয়েছিল। অগ্রসরমান ট্যাংকগুলো গুলি চালালে বাসিন্দা ও বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নুসেইরাতের আল-আওদা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত গাজা উপত্যকার আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী স্থানের মধ্যে একটি নুসিরাত-এ বিমান ও স্থল হামলায় আরো ২০ জন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাইক মোহাম্মদ বলেন, ট্যাংকের অনুপ্রবেশ বাসিন্দাদের অবাক করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ সরে যেতে পারেনি এবং তাদের বাড়ির ভিতরে আটকা পড়েছিল। তারা বাইরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল, অন্যরা পালিয়ে যায়।’ গতকাল সোমবারের সহিংসতার বিষয়ে ইসরায়েলের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গাজায় ১৪ মাস ধরে যুদ্ধ চলছে।
ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার করেছে। কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাকে বিভিন্ন এলাতা খালি করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাও হ্রাস পেয়েছে। কারণ মধ্যস্থতাকারী কাতার বলেছে, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাস উভয়ই একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইচ্ছুক না হওয়া পর্যন্ত, তারা তাদের প্রচেষ্টা স্থগিত রাখবে।