মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণে সতর্ক করল যুক্তরাজ্য ।
বহির্বিশ্বের অস্থিরতার কারণে নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্যের সরকারি সংস্থা দ্য ফরেইন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিস বা এফসিডিও। ইসরাইল ও লেবানন যুদ্ধের বিষয়ে নাগরিকদের তথ্য দিয়ে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
এ ছাড়াও, সাইপ্রাস, মরক্কো, তুরস্ক, তিউনিশিয়া, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরে ভ্রমণ করতে যাচ্ছে এমন নাগরিকদের সতর্ক করেছে এফসিডিও। বছরের এই সময়ে যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারা এই দেশগুলোর গরম এবং রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় ছুটি কাটাতে যান।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘ইসরাইল ও লেবাননের সংঘাত আরো বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পরিস্থিতি বিপদজনক হওয়ায় এই অঞ্চলের আশেপাশে বসবাসরতদেরও ঝুঁকি বাড়তে পারে। গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে ২০০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। এরপর গত শনিবার ইরানে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল।
এ বিষয়ে এফসিডিও বলে, ‘পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে। ফলে ভ্রমণবিষয়ক পরামর্শ মেনে চলতে হবে এবং গণমাধ্যমে চোখ রাখতে হবে।
এ ছাড়াও, এফসিডিও-এর এক্স (টুইটার), ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজ অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে তারা। ভ্রমণ বিষয়ক সতর্কবার্তায় কোনো পরিবর্তন আনা হলে সে বিষয়ে ইমেইল পাঠানো হবে বলেও জানায় এফসিডিও।
যুক্তরাজ্যের সংস্থাটি আরো জানায়, চলমান সহিংসতাকে ঘিরে তুরস্ক, তিউনিশিয়া ও মিশরের কিছু অঞ্চলে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হতে পারে। তুরস্কের শহরগুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশ হতে পারে। সহিংস হামলা হতে পারে। ইসরাইল ও গাজার চলমান যুদ্ধে তুরস্কের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে অস্থিরতা বাড়ার আশংকা রয়েছে। আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ইসরাইয়েলি দূতাবাসকে ঘিরে বড় ধরনের বিক্ষোভ হতে পারে।