সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কমিশন গঠনের দাবিতে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা।
এই দাবিতে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবরোধ করেছেন তারা। এতে সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সরকারি সাত কলেজ হলো, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের অন্যতম ছাত্র প্রতিনিধি ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বারী সাগর বলেন, সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্তি থেকে মুক্তি দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকার তার কর্ণপাত করেনি।
‘যেখানে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করছে, সেখানে সরকার সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
এটা শিক্ষার্থীর দাবির সঙ্গে উপহাস। এমন উপহাসমূলক কমিটি শিক্ষার্থীরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে আজ আবার কমিশন গঠন করার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে’, যোগ করেন তিনি।
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা জানে কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শোষণ-বঞ্চনার শিকার। বৈষম্য ও প্রহসনের শিকার। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
এদিকে সাত কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর করার কমিশন গঠন করেই মাঠ ছাড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ব্লকেড কর্মসূচিতে অংশ নেয়া ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা অনেকে ধৈর্য ধরেছি। সরকারকে বার বার সময় ও সুযোগ দিয়েছি।
কিন্তু তারা আমাদের কথার মূল্যায়ন করেনি। তাই আমরা প্রতিজ্ঞা করছি এবার কমিশন গঠন না করে বাসায় ফিরবো না।
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী আফসানা বেগম বলেন, শিক্ষার্থীদের একটা যৌক্তিক দাবিকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না; যা খুবই দুঃখজনক।
আমি একটা কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বিগত সরকার যেমন কোটা সংস্কারের মতো একটা যৌক্তিক দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে কূপে পড়েছে এই সরকার যেন শিক্ষার্থীদের সেরকম যৌক্তিক দাবির সঙ্গে তামাশা না করে।