ভিনিসিয়ুসের হ্যাটট্রিকে রিয়াল মাদ্রিদের জয় ।
দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে ওয়েম্বলির ফাইনালের প্রতিশোধের আভাস দিচ্ছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। কিন্তু ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে ডর্টমুন্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বশেষ ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষ গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।
শুরুর ৩৪ মিনিটের মধ্যে ২ গোলে এগিয়ে যাওয়া ডর্টমুন্ড শেষ আধঘন্টায় খেয়েছে ৫ গোল। হ্যাটট্রিক করে রিয়ালের দুর্দান্ত এই প্রত্যাবর্তনের মূল নায়ক ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। একটা করে গোল আন্টোনিও রুডিগার ও লুকাস ভাসকেজের।
৩০ মিনিটে ডনিয়েল ম্যালেন এবং ৩৪ মিনিটে জেমি গিটেন্সের গোলে গতবারের ফাইনালে রিয়ালের বিপক্ষে হারের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার আশা জাগায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
তবে দুই গোলে পিছিয়ে পড়লেও আক্রমনে পিছিয়ে পড়েনি রিয়াল। একের পর এক আক্রমনে অস্থির করে তোলে ডর্টমুন্ডের রক্ষনকে। তবে গোল আদায় করতে পারছিল না। বেশ কিছু সহজ সুযোগ মিস করার পর ৬০ মিনিটে আন্টোনিও রুডিগারের গোলে লড়াইয়ে ফেরে তারা।
এমবাপ্পের ক্রসে হেডে গোল করেন তিনি। এর দুই মিনিট পরে রিয়ালকে সমতায় ফেরান ভিনি। শুরুতে রেফারি অফসাইড দেখিয়ে সেটা বাতিল করে দিলেও পরে ভিএআরে আসে গোলের সিদ্ধান্ত।
সমতায় ফিরে আরো ভয়ঙ্কর রূপ নেয় রিয়াল, তাদের আটকানোর কোনো উপায় যেন ছিল না ডর্টমুন্ডের। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ৭ মিনিট বাকি থাকতে লুকাস ভাসকেজের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল।
এর পর চলে ভিনি ম্যাজিক। ৮৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটা করেন ভিনিসিয়ুস। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটেও একক নৈপুণ্যে আরেকটি চমৎকার গোলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি ভিনির প্রথম হ্যাটট্রিক, আর রিয়ালে জার্সিতে তৃতীয়। ৫-২ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে আনচেলত্তির শিষ্যরা।