নেত্রকোনায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ১৮ গ্রাম প্লাবিত।

সময়: 7:19 am - October 7, 2024 | | পঠিত হয়েছে: 27 বার

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার দামপাড়া পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের বেড়িবাঁধ গতকাল রবিবার বিকেলে জারিয়া আনসার ক্যাম্প এলাকায় ভেঙে গেছে। ভাঙন অংশ দিয়ে কংস নদ থেকে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে। এতে উপজেলার অন্তত ৪টি ইউনিয়নে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।

এ ছাড়া ময়মনসিংহ-জারিয়া ঝাঞ্জাইল রেলপথের পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া ঝাঞ্জাইল স্টেশনের কাছে রেললাইনের কিছু অংশ উপচে পানি পড়ছে। ব্যহত হচ্ছে ট্রেন চলাচল।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ৩ দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার পূর্বধলা, দুর্গাপুর ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া কংস নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে ধোবাউড়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা, পূর্বধলা ও দুর্গাপুর উপজেলার কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এতে পূর্বধলা উপজেলার দামপাড়া পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের বেড়িবাঁধের ঘাগড়া ও জারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান উপচে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন মাটির বস্তা ফেলে বাঁধের ভাঙন রোধে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁধটি আর রক্ষা করতে পারেননি। বিকেলে বাঁধের জারিয়া ইউনিয়নের নাটেরকোণা আনসার ক্যাম্প এলাকায় পানির তোড়ে ভেসে যায়।

এ ছাড়া বন্যায় প্লাবিত হয়ে উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের কালিপুর, বাইঞ্জা, জারিয়া, নাটেরকোণাসহ ১৮টি গ্রামের বাড়িঘরে পানি ওঠে গেছে।

উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মন্ডল নান্টু বলেন, বাঁধের জারিয়া নাটেরকোণা এলাকায় উপচে গতকাল দুপুর থেকে পানি গড়াচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন নিয়ে পানি গড়ানো রোধ ও ভাঙন ঠেকাতে মাটির বস্তা ফেলা হয়। কিন্তু কংস নদের পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় পানির তোড়ে বিকেল ৫টার দিকে বাঁধটি ভেঙে যায়। ভাঙন দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে।
এতে ক্রমেই উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।পূর্বধলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্যায় ইতিমধ্যে উপজেলার জারিয়া, ঘাগড়া ও ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আরো নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যার্থদের সাহায্যার্থে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান বলেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যার্থদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এলাকার বন্যা কবলিত মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন পাশে রয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর