পাবনা সদর উপজেলা জামায়াতের রুকন বৈঠক অনুষ্ঠিত ।
মোঃ নুরুন্নবী (পাবনা জেলা প্রতিনিধি)
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাবনা সদর উপজেলা শাখার মাসিক রুকন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকাল ৭ ঘটিকায় দারুল আমান ট্রাস্টের আছির উদ্দিন সরদার অডিটোরিয়ামে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের দেড় শতাধিক রুকনদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল আইনুলের সঞ্চালনায় দারসুল কুরআনের মাধ্যমে বৈঠক শুরু হয় এবং সভাপতির বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রব ।
বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল ইকবাল হুসাইন।
সদর আমীর মাওলানা আব্দুর রব রুকনদের সেপ্টেম্বর মাসের ব্যক্তিগত রিপোর্ট পেশ, পর্যালোচনা, মন্তব্য ও পরামর্শ সেশন পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি বলেন রুকনদের দাওয়াতি কাজ বৃদ্ধি করতে হবে, মনে রাখবেন দাওয়াতি কাজ কমিয়ে দিলে নিজের অর্জিত জ্ঞান কমতে থাকে। তিনি আরো বলেন আমাদের হাশরের মাঠে জবাবদিহি করতে হবে এই অনুভূতি নিয়ে সংগঠনের যাবতীয় কাজ পরিচালনা করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল ইকবাল হুসাইন বলেন, আমাদের দাওয়াত হচ্ছে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে এক রব এবং রাসুলকে (সা:) আমাদের নেতা মানার দাওয়াত। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বাংলাদেশ একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহান স্বপ্ন নিয়ে জামায়াত কাজ করছে। ইনশাআল্লাহ আমরা এই কাজে একদিন সফল হবো। এইজন্য সমাজ থেকে অসৎ নেতৃত্ব বিদায় করে সৎ, যোগ্য, মেধাবী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী ও বিজয়ী আন্দোলনে পরিণত করতে হলে গণমুখী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সহ সমাজের সব শ্রেণীপেশার মানুষের কাছে জামায়াতের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। জালিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে রুকনদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। যুগে যুগে যারা ইকামাতে দ্বীনের কাজ করেছে তারা অনেক জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। এদেশেও জামায়াত ইকামাতে দ্বীনের কাজ করার কারণে অনেক জুলুম-নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে এবং শাহাদাত বরণ করেছে। ইকামাতে দ্বীনের কাজের মাধ্যমেই মুমিনদের সফলতা নিশ্চিত হতে পারে। জামায়াতের রুকনদের আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে এবং পিতামাতার খেদমত করতে হবে। পরিবারকে ইসলামী আন্দোলনের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে হবে। সন্তানদের আধুনিক জাহিলিয়াতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ইসলামের সঠিক শিক্ষা দিয়ে বড় করতে হবে। প্রতিবেশীদের নিজেদের ভাই মনে করা । অহংকারী না হওয়া, গীবত ও পরনিন্দা না করে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এর ব্যাত্যয় ঘটলে জীবনের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হতে হবে তাই ক্ষমা ও ভালোবাসার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা জাকারিয়া হুসাইন, প্রচার ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুর রহমান, বায়তুলমাল সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, প্রমুখ।