অবশেষে মুখ খুললেন সালমান খান ।
সালমান খানকে অনেকদিন থেকে নিশানায় রেখেছে লরেন্স বিষ্ণোইর গ্যাং। যে কোনোভাবেই হোক, তাকে হত্যা করাই যেন বিষ্ণোইদের মূল লক্ষ্য। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকে কেন্দ্র করে তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন সালমান।
সর্বশেষ গত এপ্রিলে অভিনেতার বাড়ির সামনে এসে প্রকাশ্যে গুলি চালায় গ্যাং প্রধান লরেন্স বিষ্ণোইয়ের লোকেরা। ফলে তার জীবন নিয়ে এখন দেখা দিয়েছে শঙ্কা। এতদিন বিষয়টি নিয়ে তেমন কিছু না বললেও এবার মুখ খুললেন সালমান নিজেই।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি খুন হয়েছেন মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিক। কারণ, তিনিসহ খুন হওয়া অন্যরা কোনো না কোনোভাবে সালমানের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সালমান খান কিছুটা ইঙ্গিতও দিয়েছেন ভক্তদের। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’র সঞ্চালনার সময়।
বিগ বসের সেটে এসে সালমান জানান, তিনি তার কাজের প্রতি দায়বদ্ধ তাই এসেছেন।
সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নায়ক বলেন, ‘ভাই ঈশ্বরের নামে শপথ করে বলছি আমার জীবন দিয়ে কী যাচ্ছে আমিই জানি। তাও আমি এখানে এটা হ্যান্ডেল করতে এসেছি।’
এসময় সালমান খান আরও বলেন, ‘আমার আজ এখানে এসে মনে হচ্ছে আমার এখানে আসাই উচিত হয়নি। কিন্তু কাজের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে একটা। তাই আমি আজ এখানে।’
জানা যায়, বিগ বস ১৮ এর নতুন পর্বের শ্যুটিংয়ের দিন সালমান খানের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাবা সিদ্দিকের মৃত্যুর পর থেকে বিষ্ণোই গ্যাং লাগাতার হুমকিও দিয়ে আসছে সালমানকে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং সালমান খানকে হুমকি দেয়। যেখানে বলা ছিল ‘শত্রুতা শেষ করতে ৫ কোটি রুপি লাগবে’।
এমনটাই দাবি করে গ্যাংটি। মুম্বাই ট্র্যাফিক পুলিশকে পাঠানো একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে বলা হয়েছিল, যদি টাকা না দেয়া হয়, তবে অভিনেতার ভাগ্য মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীর চেয়েও খারাপ হবে।
সালমান খানকে হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য মুম্বাই পুলিশ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে একজন পাকিস্তানভিত্তিক একজন হ্যান্ডলারের সঙ্গে হামলার পরিকল্পনা করার জন্য যোগাযোগ করেছিল, যার মধ্যে প্রতিবেশী দেশ থেকে পাচার করা একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেলের মতো বন্দুকের ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অন্যদিকে নিজের প্রাণ বাঁচাতে ২ কোটি টাকার বুলেটপ্রুফ গাড়ি কিনেছেন সালমান খান। নিজের নিরাপত্তা আরো জোরদার করার জন্য দুবাই থেকে নতুন একটি বুলেটপ্রুফ নিসান প্যাট্রল এসইউভি আমদানি করেন ভাইজান।
অভিনেতার কেনা নতুন বুলেটপ্রুফ এসইউভিতে রয়েছে নতুন অনেক ফিচার। বুলেট ভেদ করতে পারবে না, এমন কাচ দিয়ে তৈরি গাড়িটি। সেই সঙ্গে রয়েছে বোম অ্যালার্ট ফিচার।
লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাটের একটি কারাগারে বন্দী আছেন। তবে তার গ্যাং প্রায়ই ব্যবসায়ীদের থেকে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ আছে।
১৯৯৮ সালে দুই কৃষ্ণ হরিণ শিকার মামলার কারণে সালমান খানের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। কারণ, এই কৃষ্ণ হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় পবিত্র বলে মনে করে।