নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ
টানা ১১ বারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি) নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২৪ বাংলাদেশ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
হ্যাকাথন চলে টানা ৩৬ ঘণ্টা। শনিবার সন্ধ্যায় হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। ১০ বছরে বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় টানা তিনবার ছাড়াও সব মিলিয়ে চারবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
হ্যাকাথনের উদ্বোধনে সভাপতি (বেসিস) রাসেল টি আহমেদ ও এআইইউবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
তিন হাজারের বেশি প্রতিযোগী নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়েছে। ৫০০টি প্রকল্পের মধ্যে হাইব্রিড মডেলে নির্বাচিত সেরা ৫০ নিয়ে এআইইউবিতে ও বাকি ৪৫০টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইন হ্যাকাথন হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ১৮৫টি দেশের প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাদের মতো সবকটি ক্ষেত্রে মেধাবী তরুণদের একত্র করে বিশ্বের কয়েকটি বৈশ্বিক সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা) বেসিসের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার এক কোটি শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত করার সঙ্গে দুই লাখ শিক্ষার্থীকে প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয় উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে তিন হাজারের বেশি প্রতিযোগী এতে অংশ নিয়েছে। সব মিলিয়ে ৫০০টি প্রকল্পের মধ্যে হাইব্রিড মডেলে নির্বাচিত সেরা ৫০ নিয়ে এআইইউবিতে ও বাকি ৪৫০টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় দু’দিনব্যাপী হ্যাকাথন।
প্রতিযোগিতার সঞ্চালনায় ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম রাশিদুল হাসান, সহসভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান, পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম, বিপ্লব ঘোষ রাহুল ও নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৪ পর্বের আহ্বায়ক অভিজিৎ ভৌমিক, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ পর্বের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান।
গত ছয় বছরের মধ্যে টানা তিনবার ও সব মিলিয়ে চারবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের দল।