রামু ট্রাজেডি কালো দিবস স্মরণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট’র মানববন্ধন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন
মোঃহাসানুর জামান বাবু,চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য এক ভয়াল দিন। বৌদ্ধ সভ্যতা, ঐতিহ্য, গবেষণা ও সংস্কৃতির ধারক রামুতে ৫টি বৌদ্ধ বিহার এবং বৌদ্ধ গ্রামগুলোতে প্রায় ১৫০টিরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ হয়েছিল। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে রামু, উখিয়া, পটিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার একযুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন বিচার হয়নি। বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু থাকায় এই দিনের ক্ষত বাঙালি বৌদ্ধদের হৃদয় থেকে এখনো মুছবে না। রাজনৈতিক সরকারের পটপরিবর্তনের পরও বর্তমানে এখনো অনেক বৌদ্ধপল্লি ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বাড়িঘর, উপাসনালয়ে হামলা হচ্ছে ; কিন্তু সরকার ও প্রশাসন আজোও নির্বিকার। সম্প্রীতি অটুট রাখতে সরকারের জোরালো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। নগরীর প্রেস ক্লাবে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রামু ট্রাজেডি—২০১২ কালো দিবস স্মরণে মানববন্ধন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্টের আহ্বায়ক মহানগর যুবনেতা রুবেল বড়–য়া’র সভাপতিত্বে সংগঠনের সদস্য সচিব কমল জ্যোতি বড়–য়া’র সঞ্চালনায় বক্তাগণ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঐক্য ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়–য়া। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সজল বড়–য়া, সুজন বড়–য়া, উজ্জ্বল বড়–য়া, দেবাশীষ বড়–য়া নিরু, উক্রেচিং মারমা, জয় বড়–য়া, চয়ন বড়–য়া। আরো উপস্থিত ছিলেন লোটাস বড়–য়া, অপু বড়–য়া, সুচয়ন বড়–য়া, অভি বড়–য়া, ঋতু বড়–য়া, কানন বড়–য়া, সত্যজিৎ বড়–য়া, উজ্জ্বল বড়–য়া, কল্লোল বড়–য়া, কাজল বড়–য়া, লুতায় চিং মারমা, রাজু মারমা সহ সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ জেলার সকল নেতৃবৃন্দ।